জেলা যুবলীগের সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কেএম সালাহ উদ্দিন টিপু নেতৃত্বে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে বুধবার রাত ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টার এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.আনোয়ার হোসেন বলেন, “লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও জনবল তুলনামূলক কম। এখানে ক্লিনার ও আয়া পদে কাজ করে মাত্র কয়েকজন। তারপরও আমরা ডেইলি লোক দিয়ে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি।”
যুবলীগের এ উদ্যেগ হাসপাতাল আরও বেশি সুন্দর রাখতে সহযোগীতা করবে বলে মন্তব্য করেন এ চিকিৎসক ।
এদিকে হাসপাতালের নোংরা স্যাঁতস্যাতে আর দম বন্ধ করা অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ মেলায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের আমেনা বেগম জানান, হাসপাতালে আগে অনেক দুর্গন্ধ ছিল; কালকে রাতে অভিযানের পর তা কেটে গেছে। টয়লেটগুলোও আগের চেয়ে পরিষ্কার হয়েছে।
জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে একবার করে এ পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে শুধু বেড সংখ্যা বাড়ালেই হবে না; সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও ক্লিনার, আয়া ও নার্স নিয়োগ দিতে হবে। না হলে শুধু বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করে জনগণের কোনো লাভ হবে না।”
হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রোগী ও স্বজনদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এ যুবলীগ নেতা।