বুধবার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জগৎচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, সকাল ৯টার দিকে ৪র্থ শ্রেণির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সেখানে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পাঠদান চলছিল।
“বিম ভেঙে পড়তে দেখে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক দৌড়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে নেমে যান।”
গত শনিবার বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট বগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাদ ভেঙ্গে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মানসুরা (৮) নিহত হয়; আহত হয় আরও তিন শিক্ষার্থী। পরে উপজেলা প্রশাসন বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।
শহিদুল্লাহ জানান, স্কুলের চার কক্ষের একটিতে অফিস ও অপর তিনটি শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি কক্ষের বিমে ফাটল ধরেছে। ছাদ ধসে পলেস্তারা খসে পড়ছে।
ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলে ছাদ ও দেওয়ালে পানি চুইয়ে পড়ে। শিক্ষার্র্থী ও শিক্ষকরা আতংকের মধ্যে থাকেন বলে জানান তিনি।
“বিদ্যালয় ভবনটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক বার আবেদন করা হয়েছে; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।”
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে বলে তিনি জানান।
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক, তুষার ও চাঁদনী জানিয়েছে, বৃষ্টি এলে শিক্ষার্থীরা বইপত্রসহ দৌড়ে আশপাশের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নেয়।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”