সেই সঙ্গে ওই মাদ্রাসার প্রভাষক আফসার উদ্দিন ও আরিফুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরীফ উদ্দিন আহমেদ বুধবার এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ওই তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।
শুনানি শেষে বিচারক সিরাজ উদ-দৌলাকে সাত দিন এবং বাকি দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এছাড়া মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার এ মামলার এজাহরভুক্ত আসামি জোবায়ের আহমেদ এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আটক সিরাজ উদ-দৌলার ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপিকেও সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আদালত এখনও তাদের রিমান্ড শুনানির তারিখ দেয়নি বলে পরিদর্শক কামাল হোসেন জানান।
শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, গত শনিবার সকালে তিনি ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বোরখা পরা চার নারী তাকে মামলা তুলে নিতে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান যে মামলা করেছেন, সেখানে অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় নাম থাকা বাকি সাতজন হলেন- পৌর কাউন্সিলর মাকসুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সাবেক ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নূর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
এছাড়া ঘটনার সময় ‘হাতমোজা, চশমা ও বোরকা’ পরিহিত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে লাইফসাপোর্টে থাকা নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা ভাবা হলেও চিকিৎসকরা বলেছেন, এখনই তা সম্ভব না।