ফেনীতে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় এজাহার পরিবর্তন

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় এজহার পরিবর্তন করে অধ্যক্ষসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2019, 10:23 AM
Updated : 10 April 2019, 04:07 PM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন জানান, সোমবারের রাতে এজহারে এই পরিবর্তন আনা হয়। নতুন এজহারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

তারা হলেন- অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সাবেক ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নূর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।

এছাড়া হাতে মোজা ও চোখে চশমাসহ বোরকা পরা আরও চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

পরিদর্শক কামাল বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা ও প্রভাষক আবছার উদ্দিনের নাম এজাহারে হয়েছে। অন্য পাঁচজনের নাম এজাহারে নেই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

এজহারের অন্য ছয় আসামিকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বোরখা পরা চারজনকেও পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সোনাগাজী থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এজহারভুক্ত ছয় আসামি ও বোরখা পরা চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

“ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওয়তায় আনা হবে।”

এদিকে এ ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফেনীতে মানববন্ধন করেছে ‘কর্মজীবী নারী’ সংগঠন।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধনে কর্মজীবী নারী সংগঠনের সভাপতি সালেহা বেগমসহ নারীনেত্রীরা বক্তব্য দেন।

গত শনিবার সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিলে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে।

নুসরাত ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর স্বজনরা তাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে পরিবারের অভিযোগ।

নুসরাত ওই কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন।