ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যুর ৫ বছর পর হত্যার অভিযোগ সাবেক এমপির বিরুদ্ধে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিহত হওয়ার পাঁচ বছর পর সাবেক সংসদ সদস্য ও পুলিশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছে পরিবার।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2019, 07:47 AM
Updated : 9 April 2019, 08:41 AM

জেলা জজ আদালতের এপিপি মিজানুর রহমান জানান, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন নিহত সহকারী কমিশনার অবিদিয় মার্ডির পরিবার।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজাদের পক্ষে কাজ না করায় তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

তবে আজাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এপিপি মিজানুর রহমান বলেন, নিহত অবিদিয় মার্ডির ভাই স্যামসন মার্ডি সোমবার গোবিন্দগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এই অভিযোগ দেন। আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১২ জুন শুনানির দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

“পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল তদন্তের আবেদন করা হয়েছে।”

২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি অবিদিয় মার্ডির মৃত্যু হয়।

এপিপি মিজানুর রহমান মামলার নথির বরাতে বলেন, “পুলিশ আদালতে যে অভিযোগপত্র দিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, অবিদিয় মার্ডি মোটরসাইকেলে করে নওগাঁর বাড়ি থেকে গোবিন্দগঞ্জে কর্মস্থলে আসার পথে অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত হন।

“অবিদিয় মার্ডির স্ত্রী শেফালি গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাইবান্ধার তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন অটোরিকশার চালক ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। কিন্তু শেফালি আপত্তি উত্থাপন করে দাবি করেন, অবিদিয় মার্ডিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

এপিপি মিজানুর শেফালির বরাতে বলেন, “অবিদিয় মার্ডিকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ সড়কে ফেলে রেখে দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার চালানো হয়।

“সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রের ফল গণানা বিষয়ে অবিদিয় মার্ডিকে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দেন। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। এ কারণে আবুল কালাম আজাদ তার লোকজন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। আর এতে সহযোগিতা করেন পুলিশসহ তদন্ত কর্মকর্তারা।

তবে আবুল কালাম আজাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য প্রতিপক্ষের যোগসাজশে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা ও কল্পকাহিনি সাজানো হয়েছে।”