রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বগুড়া থেকে প্রতিদিন ১৬টি ট্রেন সান্তাহার, বোনারপাড়া, রংপুর, লালমনিরহাট যাতায়াত করে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত হাজার যাত্রী বগুড়া স্টেশন থেকে ওঠা-নামা করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের ওয়েটিং রুম ও শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহার হয় না। প্রথম, দ্বিতীয় ও ভিআইপি শ্রেণির ওয়েটিং রুম ও শৌচাগার থাকলেও তা তালা বন্ধ।
বোনারপাড়ার ট্রেনযাত্রী সাব্বির হোসেন বলেন, তিনি ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই বগুড়ায় আসেন। বগুড়া থেকে বোনারপাড়া যাওয়ার পথে বগুড়া স্টেশনে শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজন হলে অনুরোধ করে কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীদেরকে টয়লেট ব্যবহার করতে হয়।
“কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। ওয়েটিং রুম না থাকায় বাধ্য হয়েই প্লাটফরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।”
সান্তাহারের যাত্রী লতিফা খানমও একই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বগুড়া রেল স্টেশনে জরুরিভিত্তিতে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম ও টয়লেটিং ব্যবস্থা ঠিক করা উচিত। তাছাড়া যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে না।
“ওয়েটিং বিয়ারার না থাকায় দিনের বেলায় তা খোলা রাখা সম্ভব হয় না। তবে, রাতে বেলায় নিজেরাই খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।”
তবে তৃতীয় শ্রেণির ওয়েটিং রুম নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।