সদর উপজেলার রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটনায় মেয়েটির পরিবার থানায় মামলা করেছে।
অভিযোগের মুখে থাকা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্ত্তিক চন্দ্র রায় পলাতক রয়েছেন বলে জেলার কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার দিন বেলা ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক কার্ত্তিক চন্দ্র রায় তার মেয়েকে ঘর পরিষ্কার করার কথা বলে স্কুলের দোতলায় নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
কার্ত্তিক তার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতন চালায় এবং সফল হতে না পেরে তাকে মারধর করে বলেও মামলায় অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিন্নাতুন ফেরদৌস ও শ্যাম বাবু রায় জানান, ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক স্কলে আসছেন না; তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
এদিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওয়াহেদ আলীর অভিযোগ “প্রধান শিক্ষক এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে।”
মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ
তবে প্রাথমিকভাবে যৌন নির্যাতনের আলামত পাওয়া যায়নি বলে হাসপাতালের গাইনী বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. সানজিদা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”
পরিদর্শক বজলুর বলেন, মামলার আসামিকে কর্মস্থল-বাড়ি কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।