মাদারীপুরে ২ কিশোরীকে আটকে ধর্ষণের অভিযোগ

মাদারীপুরে দুই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2019, 05:54 PM
Updated : 6 April 2019, 05:54 PM

ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বোতলা গ্রামে বুধবার এ ঘটনা ঘটে বলে স্বজনের অভিযোগ।

মীমাংশার নামে বালিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মতিন মোল্লা এবং ডাসার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে চার জনের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলায় আটিপাড়ার মজিবুর হাওলাদারের ছেলে শাকিব, জাকির মোল্লার ছেলে নয়ন, মন্নান খানের ছেলে আল-আমিন ও হুমায়ুন হাওলাদারের ছেলে হৃদয়কে আসামি করা হয়েছে।

এক কিশোরীর মা বলেন, তার মেয়ে ও মেয়ের সঙ্গী বুধবার স্কুলে যায়। কিন্তু সেদিন বাড়ি আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।

“পরে বৃহস্পতিবার রাতে শুনি স্থানীয়রা আমার মেয়েসহ আরেক মেয়েকে একটি ফ্লাট থেকে উদ্ধার করেছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, এখানের মাতুব্বররা সালিশ মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেছে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যও হুমকি দিয়েছে এবং মেয়েকে কয়েক দিন লুকিয়ে রাখতে বলেছে। তাই মেয়েকে ওর মামা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আরেক কিশোরীর মা বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। আপনাদের কাছে কিছু বললে আমাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিবে।”

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মেম্বার বলেন, “আমরা ঘটনাটি টের পেয়ে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করি। এ সময় ওই ফ্লাট থেকে ৭/৮ জন পালিয়ে যায়। আমরা ধারণা করছি বখাটেরা ওই মেয়েদের ইজ্জত হরণ করছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, “দেলোয়ার দারোগা এবং মতিন মোল্লা বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার নাম করে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। একারণেই নাকি মামলা হয়নি।”

এ ফ্ল্যাটটির মালিক মাহবুব সরদার। তার ফ্ল্যাটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরে তারা ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

এদিকে, সালিশ মীমাংসার কথা অস্বীকার করেছেন মতিন মোল্লা।

তিনি বলেন, “মেয়েপক্ষের লোকজন বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে আমার কাছে এসেছিল। তবে আমি টাকাও নেইনি মীমাংসাও করিনি।”

টাকা নিয়ে সালিশ মীমাংসার ব্যাপারে ডাসার থানার এসআই দেলোয়ারের কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনারা তো নেগেটিভ কথাই ভালো শোনেন। শুনলে তো কিছু করার নাই। তবে আপনারা আরও তদন্ত করে দেখুন।”

মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার বলেন, এই ঘটনা সালিশযোগ্য নয়। যদি কোনো পুলিশের কোনো অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তাহলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।