গত সোমবার বরমী কুমারভিটা গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে মাসুম এ জমি দখল করেন।
বরমী বাজারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভোলানাথ সাহা শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভোলানাথ সাহার ভাষ্য, পাঠানটেক মৌজার পৌনে ২ শতাংশ জমিতে পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি জরাজীর্ণ ঘরে একাকী বসবাস করে আসছিলেন হতদরিদ্র সুভিতা রানী সাহা।
“নিজের সন্তানাদি কিংবা কোনো সহায় সম্বল না থাকায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পরামর্শে গত বছরের ৪ নভেম্বর সুভিতা রানী সাহা ভিটেমাটি স্থানীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের অনুকুলে দান করেন।”
এদিকে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি সুভিতা রানী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
এরপর স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ সুভিতা রানীর বাড়িতে মন্দিরের নামফলক দিয়ে জমিটি বুঝে নেন বলে ভোলানাথ জানান।
তিনি বলেন, গত সোমবার (২ এপ্রিল) ভোরে স্থানীয় মাসুমের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী নামফলক তুলে বসতবাড়ির তালা ভেঙ্গে এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন জিনিষপত্র লুট করে বসতবাড়িটি দখল করেন।
তিনি বলেন, মন্দিরের নামে এ মহিলার দানের একটি সম্পত্তি গত কিছুদিন ধরেই স্থানীয় একটি কুচক্রীমহল দখলের নানা চেষ্টা করে আসছিল। জমিটি দখলের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন জালজালিয়াতির হয়ত আশ্রয় নিয়েছে।
“আমার কাছে এমন অভিযোগ আসায় আমি মন্দির কর্তৃপক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি।”
মাসুমের দাবি তিনি এ জমিটি কিনেছেন। এর প্রেক্ষিতেই দখল করেছেন।
তবে যেহেতু মন্দির কমিটি এই জমিটি দাবি করেছে তাই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তার ভাষ্য।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।