এছাড়া, হাসপাতালের চারটি মোটরসাইকেলের একটিও হাসপাতালে থাকে না; স্থানীয় কয়েকজন এগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন।
এসব ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও কমিটি তাদের কাজ শুরু করেনি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মইনুল হক খান বলেন, হাসপাতালের শুরুর দিকে প্রথম বরাদ্দকৃত অ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজের বাইরে খোলা জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্যারেজের ওই কক্ষে গিয়ে দেখা গেছে নষ্ট অ্যাম্বুলেন্সটির বেশ কিছু যন্ত্রাংশও খোয়া গেছে।
ডা. মইনুল হক খান জানান, সম্প্রতি এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর গত ২৮ মার্চ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ফতেহ আকরামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক বরাবর আবেদন করলেও চালক নিয়োগ হয়নি বলে মইনুল জানান।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ফতেহ আকরাম বলেন, তদন্ত কমিটির তিনজনই মেডিকেলের বাইরে প্রশিক্ষণ কাজে থাকায় বৃহস্পতিবারও (৪ এপ্রিল) তদন্ত কাজ শুরু করতে পারেননি।
ডা. মইনুল হক খান আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও এ হাসপাতালে চারটি মোটরসাইকেল রয়েছে। কিন্তু এসব মোটরসাইকেলের কোনোটি হাসপাতালে থাকে না।
খবর নিয়ে জানা গেছে সেটি ব্যবহার করছেন হাসপাতালে কয়েক যুগ ধরে কর্মরত প্রধান অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেছেন মোটরসাইকেলটি নিজের গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছেন এবং দূর্ঘটনায় পড়ে তা বিকল হয়ে তার গ্রামের বাড়িতেই পড়ে আছে।
অপর তিনটি ব্যবহার করেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মাজেদ আহমেদ এবং পরিসংখ্যানবিদ আমানুল্লাহ। মোটরসাইকেলগুলো ব্যবহার করার পর তা হাসপাতালে রাখার নিয়ম থাকলেও তা তারা মানছেন না তারা।