মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, মামলার এজহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হেলাল ওরফে রিপন (২৩) বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার ২ নম্বর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
বিচারক নবনীতা গুহ আবেদন নাকচ করে তাকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রিপন সুবর্ণচরের উত্তর বাগ্যা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে বলে জানান পরিদর্শক খলিল।
এ মামলায় এ পর্যন্ত সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং দুইজন আদালতে গিয়ে জামিন আবেদন করার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এজাহারভুক্ত আট আসামির মধে্যে পলাতক রয়েছেন উত্তর বাগ্যা গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে ফজলু।
খলিল জানান, মামলার চার আসামি বেচু মাঝি, রায়হান, আরমান ও রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত এ বিষয়ে রোববার শুনানির দিন রেখেছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩১ মার্চ সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চর জুবলী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দেওয়া নিয়ে বাগ্যা গ্রামের এ নারীর সঙ্গে স্থানীয় ইউসুফ মাঝির কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ইউসুফ মাঝি ওই নারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
পরদিন ওই নারীর স্বামী আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ হয়েছে নোয়াখালী শহরে।
বৃহস্পতিবার মাইজদীর টাউন হল মোড়ে সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে মার্কসবাদী জেলা নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মী ছাড়াও গত ৩০ ডিসেম্বর সুবর্ণচরে নির্যাতিতা নারী, তার স্বামী, সর্বশেষ নির্যাতিতার স্বামী ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী অংশ নেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা সুবর্ণচর ও কবিরহাটে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।