জেলার নিজামপুর কোস্টগার্ড স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে আলীপুর মৎস্য বন্দরে অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করার পর রাতেই সোনাতলা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
এনামুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালিয়ে মো. শহীদের আড়ত থেকে ১৫ লাখ রেনু জব্দ করে।
“পলিথিন মোড়ানো ৮টি বড় ড্রাম, ১৬টি ছোট ড্রাম ও তিন শতাধিক মাটির হাঁড়িতে এসব রেনু রাখা হয়েছিল। এর দাম আনুমানিক ১০ লাখ টাকা। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মানুষ ছুটোছুটি শুরু করলে রেনু ক্রেতা-বিক্রেতারা সরে যায় বলে কাউকে আটক করা যায়নি।”
স্থানীয় মজুরশ্রেণির লোকজন এই রেনু নদী থেকে সংগ্রহ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। তারা দেশের বিভিন্ন মাছের খামারে সরবরাহ করেন।
প্রায় কাপড়ের মত সূক্ষ্ম জাল দিয়ে এই রেনু সংগ্রহ করার সময় অন্যান্য জলজ প্রাণীর রেনু ও ডিম নষ্ট হয়ে যায়; যাতে প্রাণবৈচিত্র ধ্বংস হয়ে পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলে। এ কারণে সরকার রেনু সংগ্রহ নিষিদ্ধ করেছে।