প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছোটোভাই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশের ভাষ্য।
মঙ্গলবার রাতে বরিশাল মহানগরীর কালিজিরা ব্রিজ এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন নিহতের ছোটোভাই মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪৫), একই এলাকাল আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে বাচ্চু হাওলাদার এবং মন্টু খানের ছেলে মুন্না খান (২৪)।
বাগেরহাট পিবিআই-এর পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মহসীন উদ্দিন বলেন, গত ২০ জানুয়ারি রাতে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে বাবুল মোল্লা তার তিন সহযোগীকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার বড়োভাই স মিল শ্রমিক কাবুল মোল্লাকে লোহার রড় দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান।
পরদিন স্থানীয় লোকজন কাবুলের মরদেহ ধানক্ষেতে দেখতে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
এই ঘটনার দুদিন পর নিহতের বাবা গাফফার মোল্লা বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৮ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করতে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মহসীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিবিআই-এর এসআই শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বরিশালের কালিজিরা ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত কাবুলের আপন ছোটোভাই বাবুল মোল্লা ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।”
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রাম থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার রড ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।