নীলসাগরে পুণ্যস্নানে নেমে কিশোর নিখোঁজ

নীলফামারী সদরে নীলসাগরে পুণ্যস্নানে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।

বিজয় চক্রবর্তী কাজল নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2019, 12:40 PM
Updated : 3 April 2019, 12:40 PM

বুধবার গোড়গ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত নীলসাগর নামে পরিচিত এই দিঘিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী পুণ্যস্নান শুরু হয়।

সকালে নিখোঁজ সুমন চন্দ্র রায় (১৬) জেলা সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মুসরত গোড়গ্রাম মোনাগঞ্জ গ্রামের কৃষক সুকুমার চন্দ্র রায়ের ছেলে। সুমন চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

তাকে উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের একটি ইউনিট কাজ করছে।

সুমনের সঙ্গে থাকা বন্ধু উত্তম কুমার রায় বলেন, সুমনসহ তারা চার বন্ধু নীলসাগরে পুণ্যস্নানে যান বুধবার সকালে। এক পর্যায়ে তারা চারজনই সঙ্গে নেওয়া জামা-কাপড় দিঘীর পশ্চিম পাড়ে রেখে সাঁতার শুরু করেন পূর্ব প্রান্তের উদ্দেশে।

“দিঘীর মাঝ বরাবর গিয়ে সুমন জানায় তার খারাপ লাগছে। এ সময় তাকে ফেরৎ যেতে বলে আমরা তিনজন পূর্ব প্রান্তের ঘাটে চলে যাই সাঁতরে। এরপর থেকে সুমনকে আমরা আর খুঁজে পাইনি।”

সুমনের মামাত ভাই রেবতী রায় (৩০) বলেন, তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সুমন সবার ছোট। তার বাবা একজন কৃষক। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সে। বুধবার সকালে প্রতিবেশী বন্ধু বিপুল চন্দ্র রায় (১৬), অনুকুল চন্দ্র রায় (১৭) ও উত্তম কুমার রায়সহ (১৬) নীলসাগরে স্নানোৎসবে নেমে গভীর জলে নিখোঁজ হয় সুমন।

তিনি আরও বলেন বলেন, “সকাল ৬টার দিকে সে আমাকে ফোনে বলেছিল-দাদা আমরা কয়েক বন্ধু মিলে স্নানের জন্য নীলসাগর চলে গেলাম। তুইও আসিস, ওইখানে দেখা হবে। সকাল পৌনে ৭টার দিকে খবর পাই সুমন জলে নিখোঁজ হয়েছে।”

সুমনের অপর বন্ধু বিপুল চন্দ্র রায় বলেন, সুমনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের জাননো হলে তারা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে সুমনকে খোঁজা শুরু করে।

নীলফামারী সদর ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার পর রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের একটি ইউনিট এসে বেলা ১১টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।”

নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, “সুমনকে উদ্ধার করতে সকাল ১১টা থেকে আমাদের দুই জন ডুবুরি দিঘির তলদেশসহ আশেপাশে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।”