সোমবার ভোরে কালিয়াকৈর উপজেলা এবং রোববার রাতে সদর উপজেলা ও শহরের ভোগড়া এলাকার এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. কবিরুল আলম জানান, উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় ভোর ৫টার দিকে বজ্রপাতে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, “খবর পেয়ে তাদের দুইটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আধাঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভে গেলেও একটি লেপ-তোষকের দোকানসহ ছয়টি দোকান তততক্ষণে পুড়ে যায় ।”
অন্যদিকে রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে শহরের ভোগড়া এলাকার গরীব অ্যান্ড গরীব পোশাক কারখানার ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে বলে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, “খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি, শ্রীপুর ফায়ার স্টেশন থেকে দুইটি এবং টঙ্গী ফায়ার স্টেশন থেকে দুইটি ইউনিট গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কারখানার দ্বিতীয় তলায় থাকা মালামাল পুড়ে গেছে।”
এছাড়া সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর বাজার এলাকায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে মালাকার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড হয় বলে এ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান।
আক্তারুজ্জামান বলেন, “খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও সাতটি দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।”
এছাড়া সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় রোববার রাতে মোমবাতি থেকে আগুন লেগে ৩১টি ঘর পুড়ে গেছে বলে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল জানান।
তিনি বলেন, স্থানীয় হাজী রুকনের ভাড়াবাড়িতে রাত ৮টার দিকে মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ওই বাড়ির ২০ ঘরে এবং পাশের মো. জাহাঙ্গীর আলমের ১১ ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে।
“খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটের গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ওই ৩১ ঘর ও ঘর থাকা মালামাল পুড়ে যায়।”
এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও দশ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।