সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকার কাঁথা কম্পোজিট লিমিটেডের শ্রমিকেরা সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা ৩টা পর্যন্ত তাদের কারখানা ফটকের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
কারখানার ফিনিশিং বিভাগের ফোল্ডিং ম্যান সালমা বেগম জানান, কারাখানা কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন একাধিকবার পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও করেনি।
“ওই বকেয়া গত বৃহস্পতিবার পরিশোধ করা হবে বলে কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কোন নোটিশ না দিয়েই কারখানার বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
লাইন লিডার ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে দরজায় তালা ঝুলতে দেখে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। রোববার সকাল পর্যন্ত কারাখানা বন্ধ থাকায় তারা একই কর্মসূচি শুরু করেন।
কারখানার সুয়িং অপারেটর পারভিন আক্তার বলেন, “বেতন না পাওয়ায় বাড়ি-ভাড়া দোকানদার ও পাওনাদারদের কাছে প্রতি মুহুর্তে তাগাদা শুনতে হচ্ছে।”
অর্থিক সংকটের কারণে বিল পরিশোধ না করতে পারায় এক মাস আগে কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের জেষ্টা চলছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কারখানার চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কুমার বসুকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগোযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।