একই সঙ্গে বিভাগীয় চাকরি বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মহা পুলিশ পরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইন মোতাবেক পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।
গত রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় কটিয়াদি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর একের পর এক কেন্দ্র থেকে আগের রাতে পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ আসতে থাকে।
অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রথমে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও সকাল ১০টার দিকে ৮৯টি কেন্দ্রের সবকটিতেই ভোট গ্রহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়ম করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদি থানার ওসি মো. শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়।