করতোয়া তীরের অবৈধ হাসপাতাল ভেঙে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ

বগুড়ায় করতোয়া নদীর তীরে অবৈধভাবে নির্মিত ডায়াবেটিক হাসপাতালটি ভাঙতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2019, 06:31 AM
Updated : 28 March 2019, 06:32 AM

বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতি পরিচালিত শহরে নবাববাড়ি সড়কের এই হাসপাতালটি সপ্তাহ খানেক আগে ভাঙার কাজ শুরু হয়।

সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ২০০১ সালে তিনতালা এই স্থাপনাটি নির্মাণের সময় ভুল হয়েছে।

“সেই ভুলের দায় আমরা আর বহন করতে চাই না। তাছাড়া নদীও বাঁচানো দরকার। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করেছি। ভাঙা শেষ করতে দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। আশা করি আমাদের দেখাদেখি অন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও তাদের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে আগ্রহী হবে।”

স্থাপনাটি উচ্ছেদের জন্য নয়বার নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, শহর ও আশপাশে করতোয়া তীরে ৩৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নানা ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছে।

তাদের মধ্যে আছে বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদান সংস্থা টিএমএসএস, বগুড়া পৌরসভা, শহরের মালতিনগর এলাকার মোহাম্মদ বাদশা, হাজেরা বেগম, বাহালুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, লাল মিয়া, জাকির হোসেন, খলিলুর রহমান, মাটিডালি এলাকার আরিফ হোসেন, নাটাইপাড়ার সাইদুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, মশিউর রহমান, লুৎফর রহমান, আরিফা বেগম, আবুল কাশেম, বজলুর রশিদ, বজলার রহমান, মোহাম্মদ মিল্টন, গৌরদাস, অনিল কর্মকার, গোপাল চন্দ্র দাস, রাধা চন্দ্র দাস, প্রহ্লাদ, গোপিনাথ মন্দির ও সাহেব বাজার বায়তুল হামদ জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

বগুড়া সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি মাছুদার রহমান হেলাল বলেন, অন্য ৩৭ দখলদার যদি ডায়াবেটিক হাসপাতালকে অনুসরণ না করে তাহলে তাদের উচ্ছেদে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ বিষয়ে বগুড়া সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন বলেন, “সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

“ডায়াবেটিক হাসপাতালের মত আরও দু-একটি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে চাচ্ছে বলে শুনেছি। এটি ভাল উদ্যোগ। যারা সরাবে না তাদের খুব শিগগিরই উচ্ছেদ করা হবে।”