মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনায় তিনি শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেন।
গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজীব সরকারের ওপর জিইআই পাইপ, রামদা ও ইট দিয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার/পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, যারা ছাত্রলীগের সুনাম ঐহিত্য নষ্ট করতে চায়, চুনকালী দিতে চায়; তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে চায়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়; তাদের স্থান এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যারা এমন রাজনীতি করে, তোমাদের উচিত তাদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া।
“অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর ছোট হলেও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হতে হয় আমাদের।”
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তোমরা কখনও ছাত্রদের দাবি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছ? আস নাই। এসেছ নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে। এসেছ উন্নয়ন কাজে ভাগ বসাতে, উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে।”
এ সময় ডাকসু নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে আসা অর্থনীতি বিভাগের এই অধ্যাপক।
“ছাত্রলীগের যে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ছিল, তা আর নেই। ছাত্রলীগ এখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, হানাহানি করে।”
“ঢাকসু নির্বাচনে যারা অন্যান্য পোস্টে ছাত্রলীগকে ভোট দিল; তারা ভিপি পোস্টে শোভনকে না দিয়ে নূরকে দিল। এটা কেন হয়েছে? এটা হয়েছে ছাত্রলীগের ষড়যন্ত্রের কারণে।”
শাবি ছাত্রলীগের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, “তোমরা মারামারি, হানাহানি থেকে বের হয়ে আসো। তোমরা ছাত্রদের দাবি নিয়ে আমাদের কাছে আসো। আমরা তোমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, সংবাদকর্মী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীও ছিলেন।