নির্বাচনী বিরোধ: মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2019, 10:20 AM
Updated : 25 March 2019, 10:20 AM

নিহত জনি তালুকদার (২৫) মঠবাড়িয়া উপজেলার হলতা-গুলিশাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের হাতেম আলী তালুকদারের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

সোমবার সকালে কবুতরখালী গ্রামের বিলের পাড়ে ‘প্রতিপক্ষের’ লোকজন জনির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে মঠবাড়িয়া থানার ওসি শওকত আনোয়ার জানান।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জনি তালুকদার আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রাথী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে কাজ করছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিয়াজ দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে এ নির্বাচনে লড়ছেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের আগের মেয়াদের চেয়ারম্যান ছিলেন রিয়াজের ভাই জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আশরাফুর রহমান।

চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবার তিনি উপজেলাতেও দলের মনোনয়ন পাননি। 

উপজেলা নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন হোসাইন মোশারেফ সাকু। গত শনিবার রাতে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে জনসভা শেষে ফেরার সময় সাকুর ওপর হামলা হয়। ওই হামলায় তিনিসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

ওই হামলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজের সমর্থকদের দায়ী করে আসছেন সাকুর সমর্থকরা। তার দুই দিনের মাথায় রিয়াজের সমর্থক জনির ওপর হামলার ঘটনা ঘটল।

মঠবাড়িয়ার ওসি শওকত বলেন, “নির্বাচনী বিরোধের জের ধরেই জনি তালুকদারের উপর হামলা হয়েছে।”

তিনি জানান, কবুতরখালী গ্রামের বিলের কাছে জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করার কথা জানিয়ে ওসি বলেন, “হামলার ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”