ফেনীতে এবার সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ফেনীতে ঢাকা ব্যাংকের পর এবার সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2019, 02:04 PM
Updated : 24 March 2019, 03:26 PM

ব্যাংকটির ফেনী শাখার সাবেক অফিসার (ক্যাশ) হাসান মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন গ্রাহক। হাসান মোহাম্মদ রাশেদ এখন ফেনীর পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট শাখায় বদলি হয়েছেন।

রোববার দুপুরে বেশ কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে তাদের একাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক (অপারেশন) গোলাম কিরবিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের শাখার সাবেক অফিসার (ক্যাশ) হাসান মোহাম্মদ রাশেদ বেশ কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা (এফডিআর/সেভিংস একাউন্ট) সংশ্লিষ্ট একাউন্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে সম্প্রতি কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত চালাচ্ছেন বলে জানান কিবরিয়া।

ব্যাংটির গ্রাহক ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগের মির্জা আলী ভুঁইয়া বাড়ির প্রবাসী শাহ আলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখায় তার ও তার স্ত্রী রেজিয়া সুলতানার নামে দুটি পৃথক একাউন্ট আছে। তার একাউন্টে ১৭ লাখ টাকা এফডিআর এবং স্ত্রীর সেভিং একাউন্টে ২৭ লাখ টাকা আমানত ছিল।

সম্প্রতি ব্যাংকের এই দুটি একাউন্ট থেকে সব টাকা লোপাট হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরে দেশে ফিরে আসেন বলে জানান।

তিনি বলেন, “এরপর একাধিকবার ব্যাংকে এ বিষয়ে কথা বললেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। বরং আমাকে হয়রানি করেছে।”

নিরুপায় হয়ে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান।

আরেক গ্রাহক ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বৃদ্ধ আবদুস সালাম বলেন, সম্প্রতি তার একাউন্ট থেকে ৩৩ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন হয়েছে মর্মে মেসেজ আসে। বিষয়টি জানতে তার ছেলে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা উত্তোলনের বিষয়ে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি।

তার মতো আরও একাধিক গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানান সালাম।

এদিকে গ্রাহকদের ক্ষোভের বিষয়টি বুঝতে পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও এভিপি রেহানা আক্তার ব্যস্ততা দেখিয়ে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেছেন।

তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। 

এ ব্যাপারে হাসান মোহাম্মদ রাশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। গ্রাহকের টাকা জমাদান ও উত্তোলনে গরমিলের বিষয়টি অফিস তদন্ত করছে। গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যাংক টাকা ফেরত দেবে।

সম্প্রতি ঢাকা ব্যাংক ফেনী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম সাঈদ রাশেদ (৩৫) গ্রাহকদের একাউন্ট হ্যাক করে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।