এ ঘটনায় উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের সুমন মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সুমনের মা ও স্ত্রী মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
আহত বেলুয়া খাতুন ওই গ্রামের শহীদুল্লাহ মোল্লার স্ত্রী। তাকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সাত সন্তানের মা বেলুয়া খাতুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী সুমন ও মিজানুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমির বিরোধ চলছে।
“রোববার সুমন ও মিজান জমিতে বেড়া দিতে গেলে আমি বাধা দিই। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে ঘরের পিলারের সাথে বাঁধে। পরে তারা আমাকে বাড়ির উঠানে আমগাছের সাথে বেঁধে মারধর করে।”
সুমনের মা বদরুন্নেছা বেগম বলেন, “আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা উত্তেজিত হয়ে বেলুয়া খাতুনকে মারধর করে। এটা ঠিক হয়নি।”
সুমনের স্ত্রী রোজিনা বেগমও একই কথা বলেন, “তাদের সঙ্গে জমির বিরোধ আছে। কিন্তু তাকে এভাবে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।”
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে বেলুয়ার স্বামী শহীদুল্লাহ মোল্লা বলেন, চাঁদপুর আদালতে মামলা করেছেন। এতে মিজানুর সুমন, মিজান, মানিক ও কাজল নামে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ওসি মো. শাহ্ আলম বলেন, “আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে ওই দিনই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা বেলুয়া খাতুন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন ভাল।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসী নিন্দা জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসি। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে বৃদ্ধা বেলুয়া খাতুনকে মারধর গাছের সাথে বেঁধে রাখে। আমরা এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই। আর দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।”