রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংষ্কৃতিক উৎসব শুরু

বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহীতে দশ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংষ্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2019, 05:39 PM
Updated : 17 March 2019, 05:42 PM

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় সাংস্কৃতিক উৎসব ও বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।

এ উৎসবে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলা এ উৎসবে নানা আয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, রাবির সাবেক উপাচার্য আবদুল খালেক, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার নুর উর রহমান, পুলিশ কমিশনার এসএম হাফিজ আক্তার প্রমুখ।

রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হওয়ায় কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপুকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিউর রহমান বলেন, দেশ স্বাধীনের পর সুবিবেচনাভিত্তিক কৃষি ও শিল্প নীতির আলোকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

“কিন্তু অপশক্তি তাকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথ থেকে সরে এসেছিলাম। বহু বছর এবং বহু সংগ্রাম ও ত্যাগের পর আমরা আবার তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রার পথে আবার ফিরে আসতে পেরেছি।”

তিনি বলেন, “দারিদ্র্য, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্রের অভাব, জনসম্পদের দক্ষতার ঘাটতির মতো কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা আশাবাদী যে একটি গতিশীল ও বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ হিসেবেই আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করতে পারব।”

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধের পরে বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করে স্বাধীনতা।

“বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে যান, একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি, ভৌগোলিক অবস্থানসহ, একটি জাতীয় পতাকা; জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে – কবিগুরু রবীন্দ্রাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’।”

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী কিছুকাল কালো মেঘে বাংলাদেশকে ঢেকে রাখা হয়েছিল, ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছিল।

“আমাদের ২/৩টা প্রজন্মকে বিপথগামী করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সুখের বিষয় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপূর্ব দৃঢ়তায়, রাজনৈতিক মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আজকে সকল অপশক্তিকে ব্যর্থ করে দিয়ে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”