রাবিতে পরীক্ষা না পেছানোয় ৫৩ শিক্ষার্থীর বর্জন

এক শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যুতে পরীক্ষা পেছানোর দাবি না মানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৫৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেননি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2019, 01:38 PM
Updated : 17 March 2019, 01:38 PM

শনিবার পূর্বনির্ধারিত ৫০২ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা হয়।

এ ঘটনায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় তারা একই দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থানে বসলে ছাত্র উপদেষ্টা লায়লা আরজুমান বানুর আশ্বাসে অবস্থান ছেড়ে চলে যান।

অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমার বাবা মারা যান। ফাতেমার মানবিক দিক বিবেচনায় শনিবার পূর্বনির্ধারিত ৫০২ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা না নেওয়ার অনুরোধ জানান সহপাঠীরা।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. সাবিনা সুলতানাকেও মৌখিকভাবে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানানো হয়;  কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনুরোধে কর্ণপাত না করে ৫৩ শিক্ষার্থীকে রেখেই শনিবার সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিভাগের ৩৪১-৪২ নং কক্ষে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা কাউসার হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা চাই অভিভাবকতুল্য শিক্ষকরা আমাদের এ বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করবেন। বিভাগ থেকে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস না দিলে আমরা আমরণ অনশনে যাব কাল সকাল থেকে।”

এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সাবিনা সুলতানাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

তবে শনিবার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই আমরা পরীক্ষা নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়নি সে দায় তো আমি নেব না।”

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তখন তিনি বলেছিলেন, “পরীক্ষা নিয়মমাফিক হয়ে গেছে। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার ইতিহাস বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তাছাড়া আমি এবং বিভাগের সভাপতি দুজনেই ছুটিতে আছি। এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে শিক্ষকদের নিয়ে বসতে হবে, আলোচনা করতে হবে। তারপর দেখা যাবে কী করা যায়।”

তবে রোববার এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। আমি বিভাগকে বলেছি যেন কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বিভাগে এ বিষয়ে আলোচনা করে পুনরায় পরীক্ষাটি নিতে নিদের্শনা দিয়েছি।”

দুশ্চিন্তা না করে শিক্ষার্থীদের অনশন তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।