রোববার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা গ্রামে একটি মাছের ঘেরের শৌচাগার থেকে আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ১১ মার্চ ঘরের জানালার গ্রিল কেটে দলিল লেখক সোহাগ হাওলাদারের আড়াই মাস বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহকে চুরি করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।
তদন্তের ধারাবাহিকতায় গত শনিবার পুলিশ সন্দেহভাজন চোর হৃদয় চাপরাশিকে (২০) রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে আটক করে।
এর আগে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামে হৃদয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার মা, ভাই, বোন ও স্ত্রীসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হৃদয়ই শিশু আব্দুল্লাহকে চুরি করেছে বলে পুলিশ দাবি করে আসছিল।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সার্কেল) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের হাতে আটক শিশু চুরির প্রধান সন্দেহভাজন হৃদয় চাপরাশির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা গ্রামে একটি মাছের ঘেরের শৌচাগার থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হৃদয়ের বরাত দিয়ে রিয়াজুল বলেন, আব্দুল্লাহকে হৃদয় ও তার সহযোগীরা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি চিৎকার করে কান্নাকাটি করার কারণে পথেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রাস্তার পাশের ওই জায়গায় শৌচাগারের স্লাবের নিচে লুকিয়ে রাখে।
“হৃদয় মুক্তিপণের দাবিতেই এই শিশুটিকে চুরি করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।”
হৃদয়ের অন্য সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে রিয়াজুল জানান।
আব্দুল্লাহর বাবা সোহাগ হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মতো যেন আর কোনো বাবা-মার কোল খালি না হয়। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, আড়াই মাসের শিশুটিকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের পর এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন ছিল। তাকে হত্যা করায় এলাকাবাসী ভীষণ কষ্ট পেয়েছে।
তারা এই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।