কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, শনিবার রাতে উপজেলার মোসলেমগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, কালাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিনফুজুর রহমান মিলনের কর্মী-সমর্থকরা পুনট বাজার থেকে মোসলেমগঞ্জ বাজারে গেলে উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী দাদা ভাইয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বাজারের কয়েকটি দোকানও ভাংচুরের শিকার হয়।
নিহতরা হলেন- কালাই উপজেলার পুনট মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আফতাব হোসেন (৪৮) ও পুনট বাজার এলাকার মাহিশ্ম পাড়া গ্রামের চারু মহন্তের ছেলে রতন কুমার মহন্ত (৪৩)।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ কালাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিনফুজুর রহমান মিলন তৃতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিকও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী দাদা ভাই মনোনয়নের ক্ষেত্রে লজিককে সমর্থন দেওয়ায় তাদের সঙ্গে মিলনের বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই শনিবার রাতে দুই পক্ষের কমী-সমথর্করা সংঘর্ষে জড়ায় বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভাষ্য।
তবে সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষের নেতারাই প্রতিপক্ষকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন।
ওই অবস্থায় এলাকাবাসী ‘প্রতিরোধ গড়ে তুললে’ হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে এই ইউপি চেয়ারম্যানের ভাষ্য।
অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, “উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নে তৃণমূলের ভোটে হেরে যাওয়ার পর লজিক ও দাদা ভাই অকারণে আমার বিরুদ্ধাচারণ করতে থাকে। শনিবার রাতে তাদের কর্মী-সমর্থকরদের হামলায় আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়।
“তাদের মধ্যে দুজন গত রাতে আর আজ সকালে মারা গেছে। আামি এর ন্যায়বিচার দাবি করছি।”
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান।