ভোটের বিরোধে জয়পুরহাটে সংঘর্ষ, নিহত ২

নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১২জন।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2019, 08:07 AM
Updated : 17 March 2019, 08:09 AM

কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, শনিবার রাতে উপজেলার মোসলেমগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, কালাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিনফুজুর রহমান মিলনের কর্মী-সমর্থকরা পুনট বাজার থেকে মোসলেমগঞ্জ বাজারে গেলে উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী দাদা ভাইয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বাজারের কয়েকটি দোকানও ভাংচুরের শিকার হয়।

নিহতরা হলেন- কালাই উপজেলার পুনট মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আফতাব হোসেন (৪৮) ও পুনট বাজার এলাকার মাহিশ্ম পাড়া গ্রামের চারু মহন্তের ছেলে রতন কুমার মহন্ত (৪৩)।

আহত ১২ জনের মধ্যে মোসলেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মান্দাই গ্রামের আবু মুসা (৪২), দুধইল নয়াপাড়া গ্রামের বায়েজিদ হোসেন (২১), আব্দুস সোবাহান মন্ডল(৪০) এবং পুনট বাজার এলাকার দেওগ্রামের রানা মিয়াকে (৩৮) গুরুতর অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ কালাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিনফুজুর রহমান মিলন তৃতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিকও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী দাদা ভাই মনোনয়নের ক্ষেত্রে লজিককে সমর্থন দেওয়ায় তাদের সঙ্গে মিলনের বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই শনিবার রাতে দুই পক্ষের কমী-সমথর্করা সংঘর্ষে জড়ায় বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভাষ্য।

তবে সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষের নেতারাই প্রতিপক্ষকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন।

ওয়াজেদ আলী দাদা ভাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিলনের কর্মী-সমর্থকরা লাঠি-সোঁটা আর ধারালো অস্ত্র নিয়ে মোসলেমগঞ্জ বাজারে হামলা চালায়। আমার কর্মী-সমর্থক ছাড়াও এলাকার নিরীহ মানুষকে তারা বেধড়ক পেটায়, অন্তত ১০টি দোকানে ভাংচুর-লুটতরাজ চালায়।”

ওই অবস্থায় এলাকাবাসী ‘প্রতিরোধ গড়ে তুললে’ হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে এই ইউপি চেয়ারম্যানের ভাষ্য।  

অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, “উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নে তৃণমূলের ভোটে হেরে যাওয়ার পর লজিক ও দাদা ভাই অকারণে আমার বিরুদ্ধাচারণ করতে থাকে। শনিবার রাতে তাদের কর্মী-সমর্থকরদের হামলায় আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়।

“তাদের মধ্যে দুজন গত রাতে আর আজ সকালে মারা গেছে। আামি এর ন্যায়বিচার দাবি করছি।” 

এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান।