শিশুকে ‘ধর্ষণ’ ও হত্যা, জ্বলল সন্দেহভাজনের ঘরবাড়ি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তেঁতুলের প্রলোভনে নয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ওই যুবকের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। 

কাজী এনামুল হক কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2019, 05:12 PM
Updated : 16 March 2019, 05:21 PM

শনিবার ডাকাতিয়া নদীতে কাঁথা ও মশারি পেঁচানো অবস্থায় ইলমা (৯) নামের মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়। 

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই যুবকসহ আরও চারজনকে আটক করে।

নিহত ইলমা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, শুক্রবার বিকালে ইলমাকে প্রতিবেশী দুই যুবক মাঈন উদ্দিন বাপ্পি (২০) ও মিজানুর রহমান (১৯) তেঁতুলের প্রলোভন দেখিয়ে বাপ্পিদের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। 

“সেখানে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে প্রথমে লাশ বাপ্পির ঘরের সিলিংয়ের উপর লুকিয়ে রাখে। পরে রাতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মরা ডাকাতিয়া নদীতে লাশটি কাঁথা ও মশারি মুড়িয়ে পানির নিচে মাটিতে লুকিয়ে রাখে।” 

ওসি বলেন, শনিবার সকালে এলাকাবাসী সন্দেহভাজন হিসেবে বাপ্পিকে আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যমতে ডাকাতিয়া নদীর তলদেশ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ মোড়ানো কাঁথা ও মশারি বাপ্পির বলে এলাকাবাসী জানান, বলেন ওসি। 

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা বাপ্পিকে গণধোলাই দিয়ে তাদের দুইটি ঘর, একটি খড়ের গাদা আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং তার সহযোগী মিজানের দুইটি ঘর ভাংচুর করে। 

খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ইলমার মা হাছিনা বেগম বলেন, বাপ্পির বাড়িতে একটি তেঁতুল গাছ আছে। ইলমা স্কুল থেকে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই বাপ্পি তাকে তেঁতুলের প্রলোভন দেখাত।

“ঘটনার দিন শুক্রবার বিকেলে তেঁতুলের কথা বলেই ইলমাকে তার ঘরে নিয়ে যায় বাপ্পি।” 

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে আরও চারজনকে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।