ক্রাইস্টচার্চে নিহত সামাদ ছিলেন ‘মসজিদের মোয়াজ্জিন’

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত কুড়িগ্রামের আব্দুস সামাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাপশি একটি মসজিদে মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন বলে পরিবার জানিয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2019, 03:06 PM
Updated : 15 March 2019, 05:38 PM

সামাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার মধুর হাইল্যা গ্রামে। তার দুই ভাই এ গ্রামে থকেন।

ছোট ভাই হাফেজ হাবিবুর রহমান বলেন, “ভাই নিউ জিল্যান্ডের লিংকন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া তিনি ডিন্স এভিনিউয়ের আল নূর মসজিদের মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন।”

সামাদ ২০১৩ সাল থেকে সপরিবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের অ্যাগলি পার্কে বসবাস করছিলেন বলে তিনি জানান।

শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউ জিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হন; আহত হন আরও ৪৮ জন।

তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আরও চার বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর রয়েছে।

হাবিবুর রহমান বলেন, “বড় ভাই আসাদ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। আরও এক ভাই সন্ত্রাসীদের হাতে মারা পড়লেন।”

সামাদের স্ত্রী কিশোয়ারা বেগমও মারা গেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও এ বিষয়ে হাবিবুর নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

হাবিবুর বলেন, সামাদের দুই ছেলে নিউ জিল্যান্ডে থাকেন। বড় ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।

তিনি সামাদের মরদেহ অবিলম্বে দেশে এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিকালে নাগেশ্বরী বাজারে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।