কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের আয়োজনে স্থানীয় সরকারি কে বি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
রফিকুল বলেন, “কেউ যদি ব্যালট ছিনতাই করে, আপনারা ঠেকানোর জন্য চেষ্টা করবেন। যদি ঠেকাতে না পারেন নির্বাচন বন্ধ করে দিবেন। আমার নির্বাচন করার দরকার নাই।
“যদি নির্বাচন চলার সময় কেউ জোর করে সিল মারার চেষ্টা করে, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিতেছি, জাস্ট ওপেন ফায়ার। ফায়ার ওপেন করবেন। তার পরও যদি না পারেন তাহলে দরকার কী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন চালিয়ে নেওয়ার, নির্বাচন করার? স্টপ। বন্ধ করে দেন আপনার নির্বাচন।”
“আমরা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নই। আমরা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কাছে দায়বদ্ধ। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। তাই নিজের বিবেকের তাড়নায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সকল কর্মকর্তাকে কাজ করতে হবে।”
ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো ভাল প্রতিনিধি মনোনয়ন দিলে এবং জনগণকে উৎসাহিত করলে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।
“ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতির হার ৩ না ৩০ ভাগ হল, সেটা দেখার বিষয় না। কারণ ভোটকেন্দ্রে ভোটার টেনে আনার দায়িত্ব আমাদের না। সেটা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের কাজ।”
জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন, ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ধীরেন চন্দ্র মহাপাত্র, ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে ছিলেন।