বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, উন্নত দেশে সম্পূর্ণ নিয়ম ও শিষ্টাচারের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেসব দেশের জনগণ ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। আবার বিকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সবাই সে ফলাফল মেনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করেন।
“আর আমাদের দেশে নির্বাচন এলে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনী যেন যুদ্ধ ঠেকাতে মাঠে নামে। একটা গণতান্ত্রিক দেশে এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। সবাইকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিৎ।”
ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে নূরুল হুদা বলেন, এখন অনেক সাংবাদিক ক্যামেরার বদলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন; কিন্তু এর একটা খারাপ দিক হলো ফেসবুকে লাইভ করে রিউমার ছড়ানো।
“কিন্তু পেশাগত পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকরা মোবাইলে ছবি তুলতে পারবেন এটাকে আমরা শিথিল করে দেবো।”
“নির্বাচনে আমরা শুধু স্থানীয় প্রশাসনকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকি। তারা নির্বাচন পরিচালনা করেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ডিসেন্ট্রালাইজ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সুতরাং একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তাদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রুকন উদ্দিন আহমদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, ৪৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।