২৯ উপজেলায় নির্বাচনের ফল

প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয় জেলার ১৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ও ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2019, 01:49 PM
Updated : 11 March 2019, 02:25 PM

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।

হবিগঞ্জ

জেলার আট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারটিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

রোববার রাত ১০টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল জাহিদ পাভেল বেসরকারিভাবে এই ফল ঘোষণা করেন।

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের মুশফিউল আলম আজাদ, নবীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফজলুল হক সেলিম, বাহুবল উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খলিলুর রহমান, বানিয়াচং উপজেলায় আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম চৌধুরী, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের মো. মর্তুজা হাসান, চুনারুঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের আব্দুল কাদির লস্কর, মাধবপুর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. শাহজাহান।

এছাড়া জেলার সদ্যঘোষিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এখনও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।

জামালপুর

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এসএম আব্দুন নাসের, বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ তালুকদার, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সোলাইমান হোসেন।

এছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাকি চার উপজেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তারা হলেন, সদর উপজেলায় আবুল হোসেন, সরিষাবাড়ি উপজেলায় গিয়াস উদ্দিন পাঠান, মেলান্দহ উপজেলায় কামরুজ্জামান ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় ওবায়দুর রহমান বেলাল।

লালমনিরহাট

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান জানান, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী কামরুজ্জামান সুজন, কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, হাতীবান্ধা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মশিউর রহমান মামুন ও পাটগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন বাবুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নীলফামারী

রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম জানান, ডোমার উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ, ডিমলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী তবিবুল ইসলাম, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহ মো. আব্দুল কালাম বারী পাইলট ও সৈয়দপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন চেয়ারম্যান হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

রায়গঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরুল হাসান তালুকদার ইমন, চৌহালী উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন সরকার, শাহজাদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজাদ রহমান, তাড়াশ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি, বেলকুচি উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাজেদুলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রাম

প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামে আটটি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ ও দুইটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একটি উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম রাকিব রোববার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

মোস্তফা জামান, নুরন্নবী চৌধুরী খোকন ও শওকত আলী সরকার (ডানে)

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ৩৪ হাজার ৪শত ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র সাইদুল হাসান দুলাল পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৪৯ ভোট।

ভুরুঙ্গামারীতে আওয়ামী লীগের নুরন্নবী চৌধুরী খোকন পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬১৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আব্দুল হাই মাস্টার পেয়েছে ৯ হাজার ৩৭১ ভোট।

নাগেশ্বরীতে আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯৮০ ভোট। নিকটতম জাতীয় পার্টির মহিবুল হক খোকন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৫ ভোট।

রাজারহাট উপজেলায় স্বতন্ত্র  (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) জাহিদ সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পী পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৬৫। নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবু নুর মো. আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৮ ভোট।

জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী ও আকবর হোসেন হিরু

উলিপুরে আওয়ামী লীগের গোলাম হোসেন মন্টু পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯২১ ভোট। নিকটতম স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাজাদুর রহমান তালুকদার সাজু পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৪২ ভোট।

চিলমারীতে আওয়ামী লীগের শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৭১ ভোট। নিকটতম জাতীয় পার্টির জোবাইদুল ইসলাম বাদল পেয়েছেন চার হাজার ৪৫৪ ভোট।

রাজিবপুর উপজেলায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী আকবর হোসেন হিরু পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৯১ ভোট। নিকটতম আওয়ামী লীগের শফিউল আলম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।

আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও গোলাম হোসেন মণ্টু (ডানে)

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম রাকিব জানান, রৌমারী উপজেলায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) শেখ আব্দুল্লাহ ১ হাজার ৪শ ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী থেকে এগিয়ে আছেন।

এই উপজেলায় একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। স্থগিত কেন্দ্রে মোট ভোট ২ হাজার ৪০০।