সোমবার সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং পরে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
সিরাজুল ইসলাম ডিমলার পূর্ব ছাতনাই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে।
রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে এবং ওইদিন রাতেই ডিমলা থানায় মেয়েটির বাবা মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মেয়েটির বাবা-মা দুজনই দিনমজুর। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে মেয়েকে (১২) বাড়ি রেখে দুজনই কাজে যান।
তাদের অনুপস্থিতিতে বিকালে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম (৫৫) মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির সংলগ্ন চরের নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে অন্য প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে সিরাজুল পালিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
পরে প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে মা-বাবাকে খবর দেয়। রাত ১১টার দিকে তাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, “ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে নীলফামারী সদর আধনিক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”
ওসি বলেন, রোববার রাতে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে আসামি সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠোনো হয়েছে।”
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন আকতার লাকি বলেন, “সোমবার দুপুরের শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।”