সোমবার সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মীর সেরাজুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রোববার ভোটের দিন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, ঘোষিত ফলাফলে তার আনারস প্রতীক ৩৭ হাজার ৭২৩ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাজেদুলের দোয়াত কলম প্রতীক ৩৭ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়েছে বলে স্কোর বোর্ডে উল্লেখ করা হয়।
“এরপর ৪২৮ ভোট বেশি পাওয়ায় উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মিসেস জায়েদা খাতুন আমাকে মৌখিকভাবে বিজয়ী ঘোষণাও করেন।”
এরপর তার কাছ থেকে জোরপূর্বক রেজাল্ট সিটে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও তিনি অভিযাগ করেন এবং স্বাক্ষর করেননি বলে জানান।
ঘোষিত ওই ফলাফলকে জালিয়াতি অভিযোগ তরে পুনরায় ভোট গণনার দাবি করে তিনি সেরাজুল বলেন, সরকারি কর্মকতাদের এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
“আমরা কেন্দ্রগুলো থেকে আসা ফলাফলের সিট মিলিয়ে যোগফল তৈরি করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছি।”
এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোনো হস্তক্ষেপ করেননি বলে দাবি তার।