ঘটনার দুই সপ্তাহ পর শনিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে তোফায়েল মিয়াকে (২০) আটক করা হয় বলেন র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প কমান্ডার আনোয়ার হোসেন শামীম জানিয়েছেন।
আটক তোফায়েল মৌলভীবাজারের বাহুবল উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
কমান্ডার এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তোফায়েল ধর্ষণ পরিকল্পনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছে র্যাবের কাছে।
তোফায়েলের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা কয়েকজন মিলে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক প্রথমে মামুন নামের এক যুবক ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।
কমান্ডার আনোয়ার বলেন, গত ২১শে ফেব্রুয়ারি মামুন ৭ম শ্রেণির ওই মেয়েটিকে বই মেলায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে মেয়েটি রাজি হলে তাকে একটি অটোরিকশায় তোলেন মামুন। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল তোফায়েল ও শিপন।
“অটোরিশায় তুলে মেলায় না নিয়ে অন্য দিকে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা মেয়েটিকে জাপটে ধরে এবং মুখ চেপে ধরে। এরপর বৃন্দাবন চা-বাগান এলাকায় নির্জন পাহাড়ি স্থানে নিয়ে মামুনসহ সবাই দলবেঁধে ধর্ষণ করে। ওই সময় রকিব মিয়া (২০) আরও মোবাশ্বেরও (২২) ছিল।”
শেষে তারই মেয়েটিক তার বাড়ির কাছে একটি রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়, বলেন কমান্ডার আনোয়ার।
এএসপি আনোয়ার জানান, এ ঘটনার তিনদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে বাহুবল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার অন্য আসামিদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।