ভোটে নাশকতার ষড়যন্ত্র: মেয়রসহ আ. লীগের ১১ নেতাকর্মীর জেল

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতা পরিকল্পনার অপরাধে আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2019, 12:22 PM
Updated : 9 March 2019, 01:41 PM

জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানান, শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভা ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।

তারা হলেন দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নূর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দৌলিয়া বাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও আওয়ামী লীগকর্মী সাকিল।

দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদের সমর্থকরা বিধি ভঙ্গ করে বৈঠকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন।

“এই অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এ সময় মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের কাছে তার লাইসেন্সন করা অস্ত্র পাওয়া যায়। নির্বাচন কেন্দ্র করে অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি জমা দেননি। তাদের আটকের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ ও জর্জ মিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে বিচারক প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে কারাদণ্ড দেন।”

দুর্গাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলান। তার বিপরীতে ভোটের মাঠে লড়ছেন একই দলের দুই প্রার্থী। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরদার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাদের।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট প্রার্থী। তাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনয় কুমার, আব্দুল মোতালেব, বেলাল হোসেন ও রেজাউল করিম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বানেছা বেগম, সাহিদা বিবি, জলিদা বেগম ও সারমিন আহম্মেদ রয়েছেন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদ বলেন, “মেয়রসহ আমার কিছু সমর্থক ঘরোয়া বৈঠক করছিলেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়াই তাদের আটক করেছে।”