বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের আবদুল মুন্সীর ঘাট গহির কোম্পানীর বাড়ি থেকে পুলিশ শিরিন আখতারের (২৬) লাশ উদ্ধার করেছে।
শিরিনকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিন, শ্বশুর আহসান উল্যা ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহতের জেঠাত ভাই শওকত ইসলাম জানান, গত বছরের ২৮ নভেম্বর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের আবদুল মুন্সীর ঘাট গহির কোম্পানীর বাড়ি আহসান উল্যার ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের জাফর উল্যাহ বাড়ির মোহাম্মদ মোস্তফার ছোট মেয়ে শিরিন আখতারের বিয়ে হয়।
তিনি বলেন, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ দুই লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় ফার্নিচার দেয় মেয়ের পরিবার।
“বিয়ের পর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন ফের যৌতুকের জন্য শিরিনকে চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে শিরিনের উপর নির্যাতন চালনো শুরু করে।”
শিরিন নির্যাতিনের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে শওকত জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার মধ্যরাতে যৌতুকের জন্য শিরিনের দুই হাতে ও পেটে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এক পর্যায়ে শিরিন মারা গেলে সকালে তার বাড়িতে খবর দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে বিষয়টি তারা পুলিশেকে জানায়।
ফেনী মডেল থানার এসআই আবু তাহের বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবু তাহের বলেন, ময়নাতদন্তে নিহত শিরিনের দুই হাতের কব্জিতে বৈদ্যুতিক শকের আলামত পাওয়া গেছে।
ভিসেরার জন্য ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন বলেও তিনি জানান।
ফেনী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে।
নিহতের মা রেজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানান ওসি।