শহরতলীর খোলাডাঙ্গার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসানের ভাষ্য।
তিনি বলছেন, নিহত শামীমকে (২৮) এলাকাবাসী তৃষাদের প্রতিবেশী হরষিতের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে শনাক্ত করেছে।
অভিযানের বর্ণনায় ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, তৃষাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজন খোলাডাঙ্গার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে অবস্থান করছে খবর পেয়ে গভীর রাতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ।
“সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে মিলের পাশের মাঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, ভোরে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, জেলা শহরের গাজীপাড়ার তরিকুল ইসলামের মেয়ে তৃষা যশোর কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণি ছাত্রী ছিল। গত ৩ মার্চ বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।
পরদিন সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে একটি গর্ত থেকে তৃষার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার বাবা।
তৃষার লাশ উদ্ধারের পর থেকেই শামীম পালাতক ছিলেন বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ।