বান্দরবানে রাজপুণ্যাহ, চলছে খাজনা আদায়

রাজপুণ্যাহকে সামনে রেখে বান্দরবানে মৌজায় মৌজায় খাজনা আদায় শুরু হয়েছে।

উসিথোয়াই মারমা বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2019, 05:46 PM
Updated : 5 March 2019, 06:01 PM

মঙ্গলবার সকালে শহরে মধ্যমপাড়ায় রোয়াংছড়ি তারাছা মৌজার হেডম্যান কার্যালয়ে প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের অুনষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

আগামী শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠান হবে।

অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রত্যেক জুমিয়াদের কাছ থেকে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা, উপঢৌকন হিসেবে এক বোতল কাঞ্চি (পাহাড়িদের তৈরি এক ধরনের অ্যালকোহল), মুরগি ও নজরানা হিসেবে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

এতে মৌজার ১৩টি পাড়ার কার্বারী (গ্রাম প্রধান) ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

৩৪০ নম্বর তারাছা মৌজার হেডম্যান উনিংহ্লা বলেন, প্রজাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা খাজনা আবার বোমাং সার্কেল প্রধানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। এ উপলক্ষে রাজার মাঠে ৮ মার্চ শুক্রবারে বসবে তিন দিনব্যাপী ১৪১তম ঐতিবাহী রাজপুণ্যাহ উৎসব।

প্রতিবছর রাজপুণ্যাহ উৎসব ঘিরে রাজবাড়ি পাহাড়ি-বাঙালিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ সময় মোলারও আয়োজন করা হয়। মেলায় নানা সংসারিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়।

রাজপুণ্যাহ উৎসব প্রতিবছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে হয়ে থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের কারণে এবার নির্ধারিত সময়ে করা যায়নি।

ফেব্রুয়ারি মাসে সার্কেল চিফ বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন ডেকে এবারের রাজপুণ্যাহ ৮ মার্চ হবে ঘোষণা দেন।

উৎসবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং অতিথি থাকার কথা রয়েছে।

রাজপরিবারে জ্যেষ্ঠ সদস্য ও হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধরাণ সম্পাদক সা শৈ প্রু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জুমিয়াদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের এই অনুষ্ঠান দেড়শ বছরের। বোমাং সার্কেলে এই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রাখতে প্রতিবছর রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সফল করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাজপরিবার।