সোমবার বিকালে জেলা শহরের গাজীপাড়ার নিজ বাড়ির কাছ থেকে পুলিশ কথা আফরিন তৃষার (৮) লাশ উদ্ধার করে।
তৃষা গাজীপাড়ার ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলামের মেয়ে এবং কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
তরিকুল ইসলাম ওই এলকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, তার বড় মেয়ে তৃষার রোববার বিকালে বাড়িতে আরবি পড়ে খেলতে বের হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই সে বাড়িতে ফিরে আসে; কিন্তু রোববার সে ফেরেনি। কোথাও তার খোঁজও মেলেনি।
“সোমবার বিকালে বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশীর ঘরের পেছনে একটি গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
কোতোয়ালি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পাঠিয়েছে।
ধর্মতলার বাসিন্দা সাইদ সরদার বলেন, মরদেহের মুখে একটি কাপড় গুঁজে দেওয়া ছিল। দুই হাত পুরনো লুঙ্গির টুকরো দিয়ে বাঁধা। বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল মরদেহটি। পাশে তার কালো রঙয়ের একটি প্যান্ট পড়েছিল। বস্তার পাশে পড়ে ছিল নীল রং এর একটি কলমও। তৃষার একজোড়া স্যান্ডেলও রয়েছে পাশে।
“তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তাদের ভাড়া করা বাড়ির মালিক ওমর আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম বলেন, রোববার সন্ধ্যার আগে থেকে তৃষাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সন্ধ্যার আগে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারশেনস) সামসুদ্দোহা বলেন, এলাকার লোকজন তৃষা নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে। তার হাত বাঁধা ছিল। লাশ উদ্ধার করে হাসপতালের নেওয়া হয়েছে। সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি-না তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া জানা যাবে না।