এ ঘটনায় ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত সুপারিশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সভাপতি বিমল কুমার প্রামাণিক।
এই শিক্ষার্থীরা হলেন সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহীম আবির, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রিফাত হোসেন।
অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক বলেন, বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
“গত মঙ্গলবার সৈয়দ আমীর আলী হলের মাঠে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিএসই বিভাগের পক্ষে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনায় প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় গোপন করে তাকে এসএমএস পাঠিয়ে জানান। পরে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও বিভাগকে র্যাগিংয়ের বিষয়টি জানান।
র্যাগিংয়ের ঘটনায় বিভাগের একাডেমিক কমিটির আহ্বানে বুধবার জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন শিক্ষার্থীকে ঘটনার ‘হোতা’ হিসেবে চিহিৃত করা হয় এবং ওই তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশানের কাছে বৃহস্পতিবার সুপারিশ করা হয় বলে বিমল প্রামাণিক জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন র্যাগিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও বাকি দুজনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ এখনও হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে এবং তদন্তে র্যাগিংয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“সম্প্রতি আমরা র্যাগিং আর মাদকবিরোধী র্যালি করেছি। আরও নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের উপাচার্য বলে দিয়েছেন, র্যাগিংয়ের প্রমাণ পেলে ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”