মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা শামীম ওসমানের

মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সমাজের সব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নামার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারদলীয় সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2019, 03:13 PM
Updated : 3 March 2019, 02:42 PM

শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ নগরীর উকিলপাড়ায় পিকআপভ্যানে নির্মিত মঞ্চে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা উদযাপন কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সাংসদ শামীম ওসমান মঞ্চে বসা জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সিএস, এসএ ও আরএস পর্চা দেখে আওয়ামী লীগ করান। দেখবেন বেঈমানের জন্ম নিবে না। নারায়ণগঞ্জে অনেকেই আছেন যারা দিনের বেলায় আওয়ামী লীগ আর রাতে জামায়াত করেন।

তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকের সঙ্গে জামায়াতের ঘনিষ্ঠতা ফেইসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হয়ে গেছে।

যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ করা এবং সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সাহস দেখানোর আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করছে। সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজদের, মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচতে চায় বলে মন্তব্য করেন শামীম ওসমান।  

দলীয় নেতা-কর্মী, পুলিশ, প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন জনগণকে।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান।

দলের ব্যানারে থেকে কেউ মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থেকে দলের বদনাম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে দেন।

তিনি বলেন, “আমি রাজনীতি করতে এসেছি। ধান্দাবাজি করতে আসি নাই। দিনের বেলায় আওয়ামী লীগ আর রাতের অন্ধকারে বিএনপি- জামায়াতের সাথে আঁতাত করে এমন রাজনীতি আমি করি না। সাচ্চা আওয়ামী লীগারদের নিয়েই রাজনীতি করব।”

তবে বিনা কারণে দলের কারো উপর আঘাত এলে সবাইকে নিয়ে তা প্রতিহত করার প্রতিশ্রুত দেন তিনি।  

৭ম শ্রেণি থেকেই রাজনীতি শুরু করার কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে পোস্টার সাঁটানোর সময় তার পিঠে পুলিশ সাইকেল ভেঙ্গেছে।

ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জবাসীর কল্যাণে অতীতে ছিল বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানান শামীম ওসমান।

এমপি কিংবা মন্ত্রী হওয়ার কোনো লোভ নেই উল্লেখ করে শামীম ওসমানের জন্য শেখ হাসিনার একজন নগণ্য কর্মী হতে পারাই বড় পাওয়া বলে মনে করেন।

জনসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের জেলা সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সহসভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ।

দুপুর ২টা থেকে বাদ্যযন্ত্র বানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ আশপাশের ফতুল্লা, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ থেকে একের পর এক মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। মিছিলে আগত নেতাকর্মীদের গায়ে ছিল রং-বেরঙের টিশার্ট, মাথায় টুপি, হাতে শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু, সজীব ওয়াজেদ জয় ও শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার।