বিয়ের মাত্র দেড় মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বামীর বাড়িতে তার লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় রোদেলার স্বামীসহ আটজনের নামে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এখনও অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ছাত্রী রোদেলা শহরের আলিপুর খাঁ-বাড়ি মহল্লার শওকত হোসেন খান ওরফে শকার মেয়ে।
রোদেলার মা রুমা খান বলেন, “গত দুই বছর যাবত আমরা বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। এখনও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি শহরের গোয়ালচামটের নতুন বাজার মহল্লার মমিনুর রহমান সেন্টুর ছেলে সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে রোদেলার বিয়ে হয়।
মামলার অভিযোগ, বিয়ের পর ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রোদেলাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দিতে থাকে। এজন্য তাকে নানাভাবে অত্যাচার করা হতো। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বেলা স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই গাফফার তদন্ত শেষে স্বামী সোহানসহ আটজনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
তিনি বলেন, “রোদেলার মৃতদেহের ভিসেরা রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রোদেলার ননদ সুমি বেগম (৪০), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৫৫), ভাসুর মো. সুমন (৩৬), জা রেখা বেগম (২৫), শ্বশুর মোমিনুর রহমান সেন্টু (৬৫), ননদের স্বামী মো. হাফিজ (৪৫) ও সোহানের মামাত ভাই সাজিদ (৪২)।
এসআই গাফফার জানান, ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বর্তমানে এ মামলাটি (মামলা নং ৪১৭/১৭) বিচারাধীন রয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। তবে প্রধান আসামি সোহানুর রহমান পলাতক রয়েছেন বলে এই তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।
রোদেলার বাবা শওকত হোসেন খান বলেন, “এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষী রয়েছেন। পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। আশা করছি দ্রুত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হবে।”