মঙ্গলবার সকালে কয়েক দফায় বিভিন্ন উপজেলার উপর ঝড় বয়ে যায়।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগেরহাট পৌরসভার হাড়িখালি, সদর উপজেলার খানপুর, ষাটগম্বুজ, কাড়াপাড়া, ডেমা, বেমরতা ও রাখালগাছি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম।
তবে কৃষির ক্ষতি হয়নি বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দীন বলেন, প্রবল বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে দক্ষিণ ও উত্তর খানপুর গ্রামের অন্তত ৩০টি কাঁচাপাকা বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে।
এখানে ঘর ও গাছ চাপা পড়ে শিশু ও নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ব্যবস্থাপক নাজমুল হাসান বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের বেশ কিছু খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, ফকিরহাট ও রুপসা উপজেলায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আফতাব উদ্দীন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় প্রায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিতে কৃষির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বরং এই বৃষ্টিতে গ্রীষ্মকালীন ফসল আম, কাঁঠাল ও বোরো ধানের উপকার হয়েছে।