কিশোরগঞ্জের জেলা জজসহ একাধিক বিচারকের পদ শূন্য

কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজসহ কয়েকটি পদ বেশ কিছুদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এতে বিচার প্রার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তেমনি বাড়ছে মামলার জট।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিমারুফ  আহমেদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2019, 03:29 PM
Updated : 26 Feb 2019, 03:30 PM

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় সর্বশেষ কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলাম অবসর নেন গত বছরের ১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে এ পর্যন্ত নতুন কেউ এ পদে যোগ দেননি।

তার আগে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এজিএম আল মাসুদ বদলি হয়ে চলে যান গত বছরের ১৫ নভেম্বর। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে এ পদটিও শূন্য রয়েছে।

এছাড়া দেওয়ানী আদালতে একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের পদও শূন্য রয়েছে ছয় মাস ধরে।

এ অবস্থায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম নিজ আদালতের দায়িত্ব পালনের অতিরিক্ত হিসেবে অত্যন্ত জরুরি বিবেচনায় জেলা ও দায়রা জজ এবং প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দৈনন্দিন কিছু শুনানি নিষ্পত্তি করছেন বলে আইনজীবীরা জানান।

দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে বিচারক না থাকায় অসন্তুষ্ট আইনজীবীরাও যত দ্রুত সম্ভব শুন্য পদে বিচারকের নিয়োগ আশা করছেন।

দুদকের পিপি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারকের পদ শূন্য থাকায় বিচার প্রার্থী জনগণের কষ্ট হচ্ছে এবং বিচার কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে। অবিলম্বে শূন্য পদগুলিতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি জালাল উদ্দিন বলেন, এত বড় একটি জেলায় এতদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিচারকদের পদ শূন্য থাকা দুর্ভাগ্যজনক। বিচারক না থাকায় বিচার প্রার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিচার প্রার্থীদের হয়রানি হচ্ছে।

অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, বিচারক না থাকায় বিচার কাজে বিঘ্ন ও দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে। জামিনের আবেদন এবং বিশেষ করে আপিল ও রিভিশন মামলার শুনানি সম্ভব হচ্ছে না।

অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন সিদ্দীকি ও অ্যাডভোকেট রুপক রঞ্জন রায় বলেন, বিচার প্রার্থীদের কষ্ট লাঘবে দ্রুত বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুর রায়হান বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইন মন্ত্রণালয় বিচারক নিয়োগ প্রদানের কাজটি করে থাকে। তাই এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।”