সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা টেকনাফে ফিরছেন

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের টেকনাফে ফিরিয়ে আনছে স্থানীয় প্রশাসন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2019, 01:03 PM
Updated : 26 Feb 2019, 01:43 PM

টেকনাফের ইউএনও মো. রবিউল হাসান জানান, আটকা পড়া অধিকাংশ পর্যটককে ছয়টি জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকালে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা হয়েছে।  

তবে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল থাকায় শ খানেক পর্যটক সাগর পাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে সেন্টমার্টিনেই রয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।

সাগর উত্তাল থাকায় সোমবার টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে না পারায় দেশি-বিদেশি আড়াই হাজার পর্যটক ওই দ্বীপে আটকা পড়েন।

ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টিতে কক্সবাজারে লবণের মাঠ ও পানের বরজসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়, উপড়ে যায় বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি।

সাগরের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলে মঙ্গলবার সকালে পর্যটকবাহী জাহাজগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ছয়টি জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে গিয়ে বিকালে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকদের নিয়ে ফিরে আসে।

ইউএনও মো. রবিউল হাসান বলেন, “আজ জাহাজগুলোতে নতুন করে কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিনে যাননি। মূলত আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতেই জাহাজগুলো সেন্টমার্টিনে গিয়েছিল।”

সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখনো শতাধিক পর্যটক সেখানে অবস্থান করছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলী এলাকায় বজ্রঘন মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বইছে।

“আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ো হাওয়ার সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি।”

এই পরিস্থিতিতে দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।