ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের ফজর আলীর বাড়ির সদস্যরা অজ্ঞাত এক রোগে আক্রান্ত হন। গত ১৫ দিনে ওই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ওই গ্রামের অনেক বাসিন্দা ঘরে তালা দিয়ে চলে গেছে।
সমর জানান, তার মৃত্যুর ১১ দিন পর একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি মারা যান আবু তাহেরের জামাতা হাবিবুর রহমান (৩৫)। হাবিবুরের মৃত্যুর পরদিন মারা যান আবু তাহেরের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসান (২৭) অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের দুইজনকেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
“রংপুর নেওয়ার পথে ইউসুফ আলী মারা যান। আর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদীও মারা যান।”
এ রোগ সস্পর্কে চিকিৎসক কিছু বলতে পারছেন না।
ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে বাসিন্দা দুর্লভ কুমার বলেন, “হঠাৎ করেই গ্রামে অজ্ঞাত এক রোগের আবির্ভাব ঘটেছে। এতে পাঁচজন মারা গেছে এবং আরও কয়েকজন অসুস্থ্য হয়েছে। এ ধরনের রোগ এই প্রথম দেখলাম।”
ভান্ডারদহ নয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল্লাহ কাওসার বলেন, “হঠাৎ এমন একটি রোগের আগমন ঘটেছে আমাদের গ্রামে। এই রোগে পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখন আতঙ্কিত মানুষজন ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।”
সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজের নেতৃত্বে একটি চিকিৎক দল ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই অজ্ঞাত রোগটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসবেন। আশা করি দুই এক দিনের এই অজ্ঞাত রোগের কারণ বলা যাবে।”
অজ্ঞাত রোগের লক্ষণ বিষয়ে তিনি বলেন, এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রথমে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন। একই সাথে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা এবং গলা বসে যায়।