জেলা জজ মো. আবু আহছান হাবিব এবং অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. গোলাম আজম রোববার এ দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান ঘোষপাড়ার ছবেদ মণ্ডলের ছেলে আহম্মেদ মণ্ডল এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের হেরাজ মালিথার ছেলে আসমান মালিথা। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আহম্মেদকে বিচারক আবু আহছান যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর আসমানকে দেওয়া হয়েছে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদয়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ।
মামলার বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৫ সালের ১২ অগাস্ট আহম্মেদ মণ্ডলের স্ত্রী নাজমা বেগমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজমার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং পরে এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করে।
পরে পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ অগাস্ট সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকালের মধ্যে কোনো এক নাজমাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
পরে এ ঘটনায় আহম্মেদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
পিপি আরও জানান, ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নূর আলি মণ্ডলের ছেলে আহাম্মদ আলি সেচ দেওয়ার জন্য ক্ষেতে যান। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নূর খবর পান যে, ১২/১৩ জন তার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
পরদিন সকালে পলতাডাঙ্গা গ্রামের মাঠে গুলিবিদ্ধ ও কুপিয়ে জখম অবস্থায় আহাম্মদকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা হয়।
তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত। বিচার চলাকালে দুই আসামির মৃত্যু হলে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।