‘রোহিঙ্গাদের’ হামলায় আহত ৩ জার্মান সাংবাদিক

‘অপহরণকারী সন্দেহে’ কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী ক্যাম্পে তিন জার্মান সাংবাদিক ও এক পুলিশসহ ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2019, 03:52 PM
Updated : 21 Feb 2019, 05:43 PM

বৃহস্পতিবার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন।

আহতরা হলেন জার্মান সাংবাদিক গুন্টার স্টিনা, স্টেফানি অ্যাপেল, এনরিকো নিলয়দ, তাদের দোভাষী শিহাব উদ্দিন ও গাড়ি চালক নবীউল আলম।

একজন পুলিশ সদস্য আহত হলেও তার নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি বলে জানান ইকবাল।

লম্বাশিয়া ক্যাম্প এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনজন জার্মান সাংবাদিক ও তাদের দোভাষীসহ গাড়ি নিয়ে খবর সংগ্রহে যান। বিকালে ফেরার পথে কুতুপালংয়ে লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নামেন।

"এ সময় কয়েকজন রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর তাদের কৌতূহল নিয়ে তাদের কাছে এলে তারা ক্যাম্পের বাজার থেকে এসব শিশু-কিশোরদের গায়ের জামা কিনে দেন। রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের ২/৩ জন কৌতূহলবশতঃ জার্মান সাংবাদিকদের বহনকারী মাইক্রোবাসে উঠে বসে।"

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল বলেন, "শিশু-কিশোরদের গাড়িতে ওঠার বিষয়টি উপস্থিত রোহিঙ্গারা অপহরণ বলে ধরে নেয়। এরপর মুখোশ পরা কয়েকজন রোহিঙ্গা হামলা চালায়। এতে তিনজন জার্মান সাংবাদিক, একজন দোভাষী, তাদের গাড়ি চালক ও এক পুলিশ সদস্য আহত হন।”

এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা, ল্যাপটপ ও বহনকারী মাইক্রোবাসটিও ভাংচুর করা হয় বলে ইকবাল জানান।

এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, বলেন ইকবাল।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরা শিশুদের উপর একটি তথ্যচিত্র করার জন্য কাজ করছেন। তাদের এখানে আসার অনুমতি আছে। তবে ক্যাম্পে ঢোকার আগে প্রশাসনকে জানাননি। জানালে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হতো।