গ্রেপ্তার আবু জাফর (৪০) যুগান্তরের কেরাণীগঞ্জ প্রতিনিধি। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলার আঁগানগর এলাকার বাসিন্দা তিনি।
দোহার থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের পর বুধবার তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকালে তাকে ঢাকা জেলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে।
শুনানি শেষে আদালত জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
ওসি মামলার এজাহারের বরাতে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পলাশ মামলাটি দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এই মামলায় পাঁচ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আবুজাফর একজন।
“মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।”
ওসি অন্য চার আসামির নাম প্রকাশ করেননি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার ‘নবাবগঞ্জের ওসি মোস্তফা কামালের আলিশান বাড়ি’ শিরোনামে যুগান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
ওসি মোস্তফা কামাল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা বলা হয় ওই সংবাদে।
পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা ও সাংবাদিক আবু জাফরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেরাণীগঞ্জ, দোহার ও নবাবগঞ্জের সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে আবু জাফরের মুক্তি ও পুরো বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।