নারানখাইয়াপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
নিহত তুষার কান্তি চাকমা (২০) খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাদের বাড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়।
এ নিয়ে চলতি বছরে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি আঞ্চলিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিরোধে চারজন প্রাণ হারাল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে খাগড়াছড়ি থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, জেলা শহরের অদুরে নারানখাইয়া পাড়ায় এলজিইডি ভবনের সামনে একটি মোটর গ্যারেজে বসেছিলেন তুষার চাকমা। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা দুই ব্যক্তি তার পরিচয় জানতে চায়।
“এক পর্যায়ে তাকে দূরে ডেকে নিয়ে খুব কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে চলে যায়।”
পুলিশ এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে তুষারের লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
ঘটনাস্থল মোটর গ্যারেজ মালিক জয় চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, তুষার চাকমার বাড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম গ্রামে। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মাঝে মাঝে তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন।
ইউপিডিএফ তুষারকে নিজেদের সমর্থক দাবি করে এই ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করেছে।
সংগঠনের জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা বলেন, “তুষার চাকমা সাধারণ ছাত্র। সে ইউপিডিএফ-এর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে সাধারণ সমর্থক ছিল।”
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা বলেন, এ ঘটনায় তাদের কোনো হাত নেই। ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গুলিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পানছড়ি বাজারের সুকতারা বোর্ডিং এর সামনে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) কর্মী রনি ত্রিপুরা, ১৯ জানয়ারি জেলা সদরের ছোট গাছবান এলাকায় নিজ বাড়িতে ইউপিডিএফ (প্রসিত) কর্মী রনি ত্রিপুরা ওরফে পিপলু এবং ১৪ জানুয়ারি জেলার রামগড়ের জগন্নাথপাড়া এলাকায় জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন কুমার ত্রিপুরা নিহত হন।